এমপি মাহমুদ উস সামাদ’কে নিয়ে যা লিখলেন রুহিন

প্রকাশিত: ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২১

এমপি মাহমুদ উস সামাদ’কে নিয়ে যা লিখলেন রুহিন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীকে নিয়ে এশিয়ান টেলিভিশন এর সিলেট নিউজ টিমের ক্যামেরাপার্সন সাংবাদিক  রুহিন আহমদের আবেগগগণ লেখা হুবহু তুলে ধরা হল।

উল্লেখ্য,সিলেট -৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এমপি গুরুতর অসুস্থ।

তিনি বর্তমানে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।

“”প্রিয় বড় ভাই মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী””

 

আলহাজ্ব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, শুধু একটি নাম নয়, একটি চেতনা, একটি প্রেরণা। এক খন্ড জীবন্ত সোনালী ইতিহাস। একজন সময়ের সেরা অনুস্মরণীয় অনুকরণীয় আদর্শ ব্যক্তিত্ব। সমাজ, জাতী, এবং দেশের আদর্শ প্রেমিক। আলোকিত ব্যক্তি, সমাজ, জাতী এবং দেশ গড়ার কারিগর। মজলুম, অসহায়, গরীব, দু:খি, মেহনতি মানুষের দিশারী। মানব সেবায় নিবেদিত প্রাণ একজন সত্যিকার সমাজ সেবক। অত্যন্ত পরিশ্রমি, কর্মঠ, ধর্য্যশীল, ভদ্র, নম্র, বনয়ী, মিশুক, হিংসা বিদ্বেষ এবং অহংকার মুক্ত সাদা মনের স্বচ্চ একজন সুহৃদ ব্যক্তি। এ ছাড়া আরো বহু গুণে গুনান্বিত, একজন দিকপাল মানব। আদর্শ রাজনীতির এক পথিকৃত ব্যক্তি। আদর্শ সমাজ জাতী এবং দেশ বিনির্মাণে অংগীকার বদ্ধ এক প্রত্যয়ী মানব।দক্ষিণ সুরমা এবং ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ বাসীর ধারক বাহক কান্ডারী। রাজপথের লড়াকু সৈনিক। আপোষহীন একজন সিপাহসালার। সফল সংসদ সদস্য, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী নি:সন্দেহে গণ মানুষের একজন প্রিয় নেতা।

স্বীকার করতে দ্বীধা নাই,
প্রিয় নেতা বড় ভাই।

আমার মত একজন ক্ষুদ্র জ্ঞানের সাধারণ মানুষের পক্ষে এমন এক সুমহান ব্যক্তিকে নিয়ে লেখার কোন যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা নেই, তবুও মনের আবেগে বিবেকের তাড়নায়, শ্রদ্ধা এবং ভালবাসার টানে কিছু লিখতে ইচ্ছে হল। কারণ এই মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর সাথে জড়িয়ে আছে ফেলে আসা দিনের অনেক স্মৃতি, অনেক প্রীতি, রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীও আন্দোলন সংগ্রামের অনেক কীর্তি।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কে আমি দেখেছি খুব কাছ থেকে, থেকেছি দীর্ঘদিন তিনির সহচর্যে। তাই আমি চিনি খুব ভাল করেই। গণমানুষের মন জয় করে জননন্দিত এবং জনপ্রিয় নেতা হবার জন্যে যত রকম যোগ্যতা অভিজ্ঞতা এবং গুণাবলীর প্রয়োজন সব গুলো যোগ্যতা অভিজ্ঞতা এবং গুণাবলী বিদ্যমান রয়েছে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর। আর তাই রাজনৈতিক অংগনে যারা জননন্দিত, জনপ্রিয় হয়েছেন, রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান গড়েছেন তাদের মাঝে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী অন্যতম। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে রাজনীতিতে শেকড় থেকে শিখরে অরোহন করে চমক সৃষ্টি করেন মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ।

চারিদিকে মাহমুদ উস সামাদ এর জয় জয়কার রব। ঘরে বাহিরে, মাঠে ঘাটে, পথে প্রান্থরে, হাট বাজারে, মিটিং মিছিল, কিংবা চায়ের টেবিলে আর তাই এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রতি তৈরী হয় মানুষের আলাদা এক ভালবাসা।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী বিচলিত না হয়ে, মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে ভুলে যান সকল ক্লান্তি । ছুটে চলেন আবারো মানুষের দ্বারে দ্বারে। নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রামে। সুখে- দু:খে পাশে থাকেন সাধারণ জনতার। দিন রাত কঠুর পরিশ্রম করে সফর করতে থাকেন নির্বাচনী এলাকা।

রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীও, দলীয়, চার দলীয়, সরকারী বেসরকারী, সব প্রোগ্রামে হাজির হয়ে অর্জন করতে থাকেন মানুষের আস্থা এবং ভালবাসা। সময় গড়িয়ে যায়, দিনে দিনে বর্নিল হয় মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবন। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জনতার মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী । অলংকৃত করেন মহান জাতীয় সংসদ।

তারপরের ইতিহাস আপনাদের সকলেরই জানা। এম পি মাহমুদ উস সামাদ সম্পর্কে বা তিনির উন্নয়ন সম্পর্কে বলার অপেক্ষা রাখেনা। মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নেবার পর থেকেই প্রতিটি অধিবেশনে, সংসদের ভিতরে বাহিরে নিজের নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ের জন্যে জোড়ালো ভুমিকা রাখেন। যা ইতোপুর্বে বাঘা বাঘা নেতারাও রাখতে পারেননি।

এই কয়েকটি বছরে উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেন সিলেট ৩ আসনে। সৃস্টি করেন হাজারকোটি টাকার উন্নয়নের মাইল ফলক। এম পি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী অতি অল্প সময়ে দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতি মুক্ত কাংখিত উন্নয়ন করে জয় করে নেন গণমানুষের হৃদয়। হয়ে উঠেন জননন্দিত এবং জনপ্রিয়।

উত্তম চরিত্র, উন্নত আদর্শ, অমায়ীক ব্যবহার, আর জনতার উপকারী সুকর্মের গুণে আজ গণমানুষের হৃদয়ে সমুজ্জ্বল, প্রিয় এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।

এই করোনা মহামারিতে যে-ভাবে সবাইকে সহযোগিতা করেছেন সেটা চুখে ভাসে।আল্লাহর কাছে দোয়া করি আল্লাহ আমার প্রিয় ব্যাক্তি বড় ভাই’কে তুমি সুস্থ করে আবারো মাঠে ময়দানে ফিরিয়ে দাও।
আমিন।