কিছু মৃত্যু আমাদের কাঁদায়, অনুভূতি শূন্য করে দেয়

প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২১

কিছু মৃত্যু আমাদের কাঁদায়, অনুভূতি শূন্য করে দেয়

রুহিন আহমদঃনিশ্চিত মৃত্যুর পৃথিবীতে কিছু কিছু মৃত্যু বড় বেশি ছাপ ফেলে যায়। কাছের দূরের মানুষের হৃদয়ে দাগ রেখে যায়।প্রিয় ব্যাক্তির চলে যাওয়া মেনে নেওয়া খুব কষ্টদায়ক হয়ে ওঠে। সিলেট ৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মাহমুদ উস সামাদ চোধুরীর মৃত্যু শুভাকাঙ্ক্ষীরা যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না।মাহমুদ উস সামাদ চোধুরী ছিলেন সিলেট ৩ আসনের উচ্ছ্বল প্রাণের প্রিয় ব্যাক্তি। সবাইকে হাসি-ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখা, শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে ছবি তোলা, আড্ডা দেওয়ায় ছিলেন এক জীবন্ত প্রাণ। মাহমুদ উস সামাদের সাংবাদিকদের মাজে যিনি সব সময় ছিলেন স্বাথী হয়ে তিনি লিখেছেন, ‘’তবুও তুমি রবে মোর জীবনের পথ চলার স্বাথী হয়ে’’।অনেক ভালো ছিলেন আপনি। আমার বিশ্বাস আপনাকে আল্লাহ জান্নাতেই দিবেন।

যেখানেই থাকেন, ভালো থাকেন সব সময় এই দোয় করি! আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২-৪০ মিনিটে দিকে রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ।সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। উল্ল্যেখ্য, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে গত রোববার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তিনি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন সোমবার তার শরীরে করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর জন্ম ১৯৫৫ সালের ৩ জানুয়ারি। বাংলাদেশের অন্যতম এ রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচিত হন। এরপর দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি।

এছাড়া তিনি শেখ রাসেল শিশু-কিশোর মেলার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। ফেসবুকে তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা লিখেছেন, ‘কিভাবে কি হয়ে গেল।আল্লাহ্‌ কেন এভাবে নিয়ে যায় প্রিয় মানুষকে? মাহমুদ উস সামাদের আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি, আল্লাহ্ তুমি মাহমুদ উস সামাদ’কে ক্ষমা করে দাও, ওকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করো।পরিবারকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করুন। যেখানেই থাকেন ভালো থাকেন।