সিলেটে আলোচিত শাহিন হত্যাকারীদের যেভাবে আটক করলো র‍্যাব

প্রকাশিত: ৮:০০ পূর্বাহ্ণ, মে ২, ২০২১

সিলেটে আলোচিত শাহিন হত্যাকারীদের যেভাবে আটক করলো র‍্যাব

নগর বার্তা প্রতিবেদকঃ সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জে আলোচিত শাহীন হত্যা রহস্য উদঘাটন করলো র‌্যাব-৯। এ ঘটনায় পলাতক ৪ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।শনিবার(১মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে গোলাপগঞ্জ থানার হাজীপুর শুকনা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো-গোলাপগঞ্জের কায়স্তগ্রাম কুসুমবাগের জামাল হোসেনের ছেলে সরোয়ার হোসেন(২৪), মৃত তৈয়বুর রহমানের ছেলে মাজেদুর রহমান (৩৭), মানিক মিয়ার ছেলে শাকিল আহমেদ (২৬), মাহবুবুর রহমানের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭) ।তাদের সবার বাড়ি হাজিপুর শুকনায়।

জানা যায়, শাহিন হত্যার পরের দিন সোমবার(২৩ মার্চ ) গোলাপগঞ্জ বাইপাসে সকাল-দুপুরের যেকোনে এক সময় শাহিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি চালু করা হয়। চালু করার ঠিক ৫ মিনিটের মাাথায় আবারো মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এই সময়ে র‌্যাব তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের অবস্থান চিহ্নিত করে।এর সূত্র ধরে প্রথমে ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭)কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সানির দেওয়া তথ্য থেকে এই ঘটনার সাথে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্র আরও জানায়, গ্রেফতার ওয়াহিদুর রহমান ওরফে সানি (২৭) গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমানের ছেলে। চেয়ারম্যানের ছেলে হওয়ার সুবাধে বিভিন্ন সময়ে নেশা করে বেড়াত। তার এই কার্যকলাপে শাশানোর জের ধরে খুন করা হয় শাহিনকে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৯এর মিডিয়া অফিসার এএসপি ওবাইন বলেন,গ্রেপ্তারকৃতদের গোলাপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।উল্লেখ্য, রোববার দিবাগত (২২ মার্চ) রাত ১টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের লরিফর গ্রামের সড়কে দুর্বৃত্তরা লরিপুর গ্রামের মরহুম আব্দুল হকের ছেলে যুবলীগ নেতা এহতেশামুল হক শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে খুন করে পালিয়ে যায়। নিহত ওই রাতে ঢাকা থেকে জরুরী কাজ শেষ করে সিলেট থেকে সিএনজি যোগে বাড়ি ফিরছিলেন।গ্রামে আসামাত্র কয়েজন সন্ত্রাসী কলাগাছ ফেলে রাস্তার গতিরোধ করে। এসময় শাহিনের সাথে সন্ত্রাসীদের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা শাহিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ড্রাইভার ও পরিবারের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।