ঢাকা ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মৎসজীবি মতিউল ইসলাম (৪০)। দীর্ঘদিন থেকে পার্শবর্তী সুরমা নদী থেকে মৎস আরোহণ করেই চলে তার সংসার। কিন্তু কিছুদিন যাবত কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুরমা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনের ফলে তিনি আর মাছ আরোহণ করতে পারছেন না। বিধায় তাঁর সংসারের চাকা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
এতো গেলো মতিউল ইসলামের কথা। এরকম এই এলাকায় শতাধিক পরিবার সুরমা নদী থেকে মাছ আরোহণ করে তাদের পরিবার চালায়। কিন্তু তাঁরা সবাই আজ একটি অসাধু ব্যবসায়ী সিন্টিকেটের কাছে জীম্মি হয়ে পড়েছে। মাছ ধরতে না পারায় তারা আজ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
এছাড়া, অসাধু ব্যবসায়ীরা সুরমা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদীর পাড়ে ২টি সরকারি আশ্রায়ন কেন্দ্রসহ নদীর উপর স্থাপিত ব্রিজ। নদী থেকে মাটি উত্তোলনের ফলে যেকোন সময় ধসে যেতে পারে সরকারি আশ্রায়ন কেন্দ্রের ঘর ও ব্রিজ।
মৎসজীবি মতিউল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে তাঁরা নদী থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কিন্তু সম্প্রতি ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি তোলার ফলে তারা আর মাছ ধরতে পারছেন না। ফলে তিনি সহ এলাকার শতাধিক মৎসজীবি পরিবার কর্মহীন হয়ে দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন।
এবিষয়ে, সম্প্রতি বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন লামাকাজি ইউনিয়নের মিজার খামে মির্জারগাও আহরণ মৎস্যজীবি সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
এবিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, এখানে একটি সরকারি প্রকল্পের জন্য মাটি তোলা হচ্ছে। এর বাইরে কেউ মাটি তোলে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সত্যের পথে আপোষহীন ও নিরপেক্ষ সংবাদমাধ্যম