ছেলের বটির আ ঘা তে প্রাণ গেল মায়ের

প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫

ছেলের বটির আ ঘা তে  প্রাণ গেল মায়ের

নিউজ ডেস্ক:-আর্থিক অভাব অনটন ও জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে নিজ ছেলের হাতে প্রাণ হারালেন বৃদ্ধ মা। জেলার দৌলতপুর উপজেলার চক মিরপুর ইউনিয়নের মান্দারতা গ্রামে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতের নাম করুনা রানী ভদ্র (৬২)। অভিযুক্ত তারই ছেলে রবি চন্দ্র ভদ্র (৪২)।,

 

এলাকার মানুষ ও থানা পুলিশ সুত্র জানায়, বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে মা-ছেলের মধ্যে আর্থিক টানাপোড়েন নিয়ে তীব্র তর্ক-বিতর্ক হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ছেলে রবি চন্দ্র ভদ্র। হাতে থাকা ধারালো বটি দিয়ে বসতঘরের ভেতরেই মায়ের গলায় কোপ দেন তিনি। মুহূর্তেই লুটিয়ে পড়েন করুনা রানী। পরিবারের কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মায়ের বুক চিরে বেরিয়ে যায় শেষ নিঃশ্বাস। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে পালিয়ে যায়।

নিহত করুনা রানী ভদ্র মৃত ফটিক চন্দ্র ভদ্রের স্ত্রী। পরিবারে দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক টানাপোড়েন চলছিল। ছেলে রবির সঙ্গে মায়ের প্রায়ই ঝগড়া হতো। সেই দ্বন্দ্বই কাল হয়ে দাড়াল মায়ের জন্য।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, মা করুনা ভদ্রের নামে বাড়ির ১১৪ শতাংশ জমি রয়েছে। পোস্ট অফিসে টাকা জমা আছে প্রায় ৯ লাখ টাকা। এই টাকা ও জমি লিখে দেওয়ার জন্য মা’কে অনেকদিন ধরেই চাপ দিয়ে আসছিলো লিভারজনিত রোগে গুরুতর অসুস্থ রবি ভদ্র।

এ নিয়ে মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিনে এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। প্রতিদিনের মতো রাতে মা করুনা ভদ্র তার ৬ বছরের নাতনিকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।পাশের রুমে স্ত্রীসহ ঘুমিয়ে ছিলেন বড় ছেলে রবি ভদ্র।

রবি ভদ্রের স্ত্রী জয়া ভদ্র জানান, মধ্যরাতে মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি পাশের রুমে যান। ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দেখেন মেয়ের শরীর রক্তে ভিজে আছে। পাশেই পড়ে আছে শ্বাশুড়ির গলাকাটা লাশ। লাশের ওপরে বালিশ ছিলো। এসময় তার স্বামী ঘরে ছিলো না। বাড়ান্দার গেটে বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিলো।

খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর এম আল মামুন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আইনগত প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।