ঢাকা ২৪শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৪১ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০২২
নিউজ ডেস্ক: ছোট্ট অনিক, যার বয়সের চেয়ে বইয়ের সংখ্যা বেশি। শরীরের ওজনের চেয়ে বেশি ব্যাগের। করোনার ভয়াবহতা শেষে আবার শুরু হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন। তাইতো লেখাপড়ায় আরো ভালো করার জন্য তার ছোট শরীরে কাঁধের এই ভারী ব্যাগটা নিয়ে সারাদিন ছোটাছুটি করতে হয়। স্কুল থেকে কোচিং সেন্টার, কোচিং সেন্টার থেকে প্রাইভেট টিউটর, এরপর বাড়ি ফিরে আবার সেই নানারকম হোমওয়ার্কের চাপ।
এ গল্পটা শুধু অনিকের না, প্রতিদিন এমন পড়াশোনার চাপে দিন কাটে দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর। আর এই পড়াশোনার প্রতিযোগিতার চাপে পড়ে অনেক ছাত্র-ছাত্রী নিজেদের চিন্তাভাবনার, সৃজনশীলতা চর্চার সুযোগও পায়না। অন্যদিকে সন্তানদের লেখাপড়া নিয়ে বাবা-মায়েদের দুঃশ্চিন্তারতো শেষ নেই। কোন স্কুল? কোন কোচিং সেন্টার? কোন প্রাইভেট টিউটর? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলেও, কখনো দেখা যায় সন্তানের মনের মতো পড়ার পরিবেশ হয়না। প্রতিটি বাবা-মায়েরাই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সবচেয়ে ভালো পরিবেশে পড়াতে চান, এতে আবার আছে বাড়তি খরচেরও চাপ!
এসব বিষয়কে মাথায় রেখে পড়ালেখাকে আরও সহজ ও আনন্দময় করে তুলতে চলে এলো অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘গোজিএইট স্কুলবাড়ি’, যেখানে লেখাপড়া সবার জন্য একদম বিনামূল্যে এবং আনন্দময় পরিবেশে।
এখানে, চতুর্থ শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব বিষয়ের কোর্সগুলোর ভিডিও রয়েছে। ভিডিওগুলো তাদের ফেসবুক, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সবগুলো কোর্সই সবার জন্য উন্মুক্ত। অন্যসব প্লাটফর্মের মতো এখানে কোনো কোর্স টাকা দিয়ে দেখতে হয় না। এই প্লাটফর্মে যারা ক্লাস নিচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ আরো অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী। শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাই নয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যেমন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাও আছেন।
গোজিএইট স্কুলবাড়িতে সব ক্লাসের, সব বিষয়ের অধ্যায়গুলোর লেকচার খুব সুন্দর করে সাজানো রয়েছে। তাদের পাঠ কার্যক্রমজুড়ে প্রচুর ছবি, কার্টুুন অ্যানিমেশন, ইনফোগ্রাফির আধিক্য দেখা যায়। যার ফলে শিশুদের কাছে ক্লাসগুলো হয়ে উঠছে খুব আনন্দের এবং সহজে শিক্ষনীয়।
এ বিষয়ে গোজিএইট স্কুলবাড়ির ব্র্যান্ড স্ট্র্যাটেজিস্ট সাদিয়া হোসেন বলেছেন, ‘গোজি এইট স্কুলবাড়ি পড়াশোনার ধারায় একটু নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছে এবং তা শিক্ষার্থীদের জন্য হচ্ছে লোভনীয়। তাই দেখবেন আমাদের কোর্সগুলোতে অন্যদের তুলনায় অনেক উন্নতমানের গ্রাফিক্সের ব্যবহার রয়েছে। সেই সাথে সবার কাছে তাদের কল্পনার জগৎকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আরেকটু সহজ করে বলি, যেমন চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে বাংলা আমার বইয়ের একটি গল্প বড় রাজা ছোট রাজা” পড়ানো হলো। কিন্তু আমি যখন তাকে কোনো রাজার গল্প বলছি তার কল্পনায় চলে আসছে একজন রাজা, তার রাজ্য এবং সৈন্যদল। এখন আমি যদি তার এই কল্পনাকে বাস্তবে গ্রাফিক্সের মাধ্যমে নিয়ে আসি তাহলে সে যেমন পড়ে আনন্দ পাবে তেমনি খুব সহজেই পড়াটাকে বুঝতে পারবে নিজের মতন করে। আর তাই আমরা প্রতিটি কোর্স খুব যতেœর সাথে তৈরির চেষ্টা করি। পড়ালেখাকে কোনোভাবেই মুখস্ত বিদ্যায় এবং পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টে আটকে রাখতে চাইনা। এমনকি পড়ালেখাকে কঠিন করেও তুলতে চাই না। বাচ্চাদের উপর থেকে পড়ালেখার চাপ কমিয়ে আমরা তাদের সৃজনশীল করে তুলতে চাই। সেজন্যই আমরা চেষ্টা করছি কোর্সগুলো যাতে আনন্দময় হয়। আর তাই বাছাই করে দেশসেরা ছাত্রছাত্রীদের ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের শিক্ষক প্যানেলে যুক্ত করেছি।’
গোজিএইট স্কুলবাড়ির ইউটিউব চ্যানেল (https://youtube.com/c/GoGEE8) ঘুরে তাদের কথার সত্যতাও পাওয়া গেলো। বিষয়ভিত্তিক অ্যানিমেশনের সাথে মজার মজার সব ইমেজ, যা দেখে পড়ার বিষয় সম্পর্কে সহজে ধারণা পাওয়া যাবে। আর একবার দেখতে বসলে চোখ ফেরানোও মুশকিল। চতুর্থ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব বিষয়ের অধ্যায়ভিত্তিক লেকচার পাওয়া যাবে এই ইউটিউব চ্যানেলে একদম বিনামূল্যে। এছাড়া গোজিএইট স্কুলবাড়ি ৫৫০০টি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করেছে যার মোট মিনিট সংখ্যা ৬৫ হাজার। যখন ইচ্ছা তখন দেখা যাবে যেকোনো ভিডিও, জানা যাবে সব তথ্য। আর তাইতো বলা যায়, “পড়াশোনা এখন হাতের মুঠোয়, তাও আবার বিনামূল্যে!”
এমএনআই
ঠিকানাঃ
মোবাইল: 01795396925
ইমেইল:
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ রুহিন আহমদ
———————————————————-
সত্যের পথে আপোষহীন ও নিরপেক্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল
——————————————————–
উপদেষ্টা মন্ডলী সভাপতি
……………………………
——————————————————