সিলেট স্টারঃ সিলেটে নগরীতে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চালাচ্ছে বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম। তাদের অপকর্মে নগরীর বাসিন্দারা অনেকটা অসহায়। কেউ মুখ খুলেও বলতে পারছেন না আর কেউবা দেখেও এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে এবার কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে যাচ্ছে সিলেট মহানগর পুলিশ। ইতোপূর্বে কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা থামাতে গ্যাংয়ের সদস্য ও টিম লিডারের তালিকা তৈরি করতে সিলেট নগরীর ৬ থানার ওসিদের নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার মো.জাকির হোসেন খান, পিপিএম।

সম্প্রতি এসএমপি সদর দপ্তর সম্মেলন কক্ষে কিশোর গ্যাং সংক্রান্তে আলোচনা সভায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়।,এর আগে গত ১৮ মে সিলেট নগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতার বিষয়টি আইজিপি’র (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) নজরে নিয়ে আসেন সিলেট বিশিষ্টজনেরা। জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা বলেন, সিলেটে কিশোর গ্যাং সদস্যরা নানামুখী অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের কারণে সরকারি বিভিন্ন অর্জনও ম্লান হতে চলেছে। কাজেই, তাদেরকে নিয়ন্ত্রণের এখনই মোক্ষম সময়।জবাবে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আইজিপি আব্দুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার) পিপিএম বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। আপনার সন্তান কার সাথে মিশছে এবং নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে কী না-সেদিকে নিয়মিত তদারকি করতে হবে।

গত ৩মে আধিপত্য নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হয়েছের কিশোর মোহাম্মদ আলী নিশো। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানাধীন দত্তগ্রাম থেকে কিশোর গ্যাংয়ের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শান্তিগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের চাঁন মিয়ার পুত্র ফরহাদ মিয়া (২০), কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার মজলিশপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেল নূরনবী নুনু (১৯) ও একই থানার নোয়াহাটা গ্রামের নুর জামাল মিয়ার ছেলে রাহিম আহমদ (১৯) এবং হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার বগি গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (১৯)। তারা বর্তমানে সবাই ছড়ারপারের বিভিন্ন কলোনিতে থাকেন। এদের মধ্যে ফরহাদ এ মামলার মূল আসামী।।,

এদিকে, গত ২১ মে এসএমপি সদর দপ্তর সম্মেলন কক্ষে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো.জাকির হোসেন খান, পিপিএম’র সভাপতিত্বে কিশোর গ্যাং সংক্রান্তে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় পুলিশ কমিশনার বলেন, সকল থানার অফিসার ইনচার্জরা থানা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হালনাগাদ তালিকা ও তথ্যাদি প্রণয়ন করা। কিশোর গ্যাংয়ের নাম, তাদের লিডারদের নাম এবং পৃষ্টপোষকের নামের তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পুলিশ কমিশনার কিশোর গ্যাং সংক্রান্তে নিয়মিত চিঠি প্রেরণ করে মিটিং করতে ও কোথায় মিটিং হয় তার ছবি প্রেরণের করতে বলেন। স্থানীয় পত্রিকাতে কিশোর গ্যাং সংক্রান্তে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিশেষ করে শাহপরাণে কিশোর গ্যাং চিহ্নিত করতে ওসি শাহপরাণকে নির্দেশ প্রদান করেন।এছাড়াও নগরীর যেসকল স্থানে কিশোর গ্যাং কর্তৃক অপকর্ম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সে সমস্ত স্থানে পুলিশের নজরধারী বাড়ানোর জন্য সকল থানার ওসিদেরকে নির্দেশনা প্রদান করেন ,।পুলিশ কমিশনার বলেন, নগরীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের আশে পাশে ও গেইটের সামনে যে সকল ছাত্র ক্লাসের পরবর্তী সময়ে অবস্থান করে তাদেরকে বুঝিয়ে বাসায় পাঠানোর ব্যবস্থা করতে।